করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষকে ভয় দেখিয়ে হলেও ঘরে রাখতে অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার একটি গ্রামে। দেশটির জাভা দ্বীপের কেপু গ্রামে রাস্তায় একদল ‘ভূতের’ টহলের মাধ্যমে মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির এ সময়ে রাতে রহস্যময় এই সাদা ভূতেরা লাফিয়ে এসে পথচারীদের চমকে দিয়ে চাঁদের আলোয় ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসীদের ঘরে রাখবে এমন বিশ্বাস থেকেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার গ্রামটিতে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রচলিত লোককাহিনী অনুযায়ী, সাদা কাপড়ে মোড়ানো ভূতকে ‘পোকং’ বলা হয়। এপ্রিলের শুরু থেকে পুলিশের সহায়তার কেপু গ্রামের একদল তরুণ মুখে পাউডার লাগিয়ে, চোখে কালি মেখে, সাদা কাপড় পরে ‘পোকং’ সেজে বিনাকারণে ঘরের বাইরে বেরোনো মানুষজনকে ভয় দেখিয়ে ঘরে ঢুকাচ্ছে।
পেকু গ্রামের যুবকদের একটি সংস্থার প্রধান আনজার পানকানিংত্যাস বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আমরা ভিন্ন কিছু করতে চেয়ে এমন পথ বেছে নিয়েছি; ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছি। কারণ, ‘পোকং’ ভূতুড়ে এবং ভয়ংকর।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে লকডাউনের পদক্ষেপ নিতে চাননি। এর পরিবর্তে তিনি দেশের মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
কিন্তু কেপু গ্রাম প্রধান জানিয়েছেন, সেখানকার বাসিন্দারা এখনো কোভিড-১৯ এর মতো রোগের ব্যাপারে সচেতন নয়। তাই করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গ্রামের কর্তৃপক্ষ নিজেরাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
“যুগান্তর”